🌾 বড় হয়ে ওঠার গল্প

ছোটবেলায় রিমা ছিল একেবারেই চুপচাপ মেয়ে। পাড়ার বাচ্চারা যখন মাঠে খেলত, সে তখন জানালার পাশে বসে রঙিন পেন্সিল দিয়ে ছবি আঁকত। তার মা প্রায়ই বলতেন,
“রিমা, তুই বাইরে যা, একটু খেলাধুলা কর।”
কিন্তু রিমার মন পড়ে থাকত তার ছোট্ট ড্রইং খাতায়।

সময় গড়াল। স্কুলে পড়তে পড়তে রিমা বুঝল, সে শুধু আঁকতেই পারে না, সে দিয়ে কিছু বলতে চায়। তার ছবিগুলোর মধ্যে মানুষ, প্রকৃতি, অনুভূতি—সব মিলেমিশে এক গল্প বলে। কলেজে ভর্তি হওয়ার পর সে একদিন নিজের আঁকা কয়েকটা ছবি নিয়ে স্থানীয় এক প্রদর্শনীতে অংশ নিল।

প্রথমে কেউ তেমন খেয়াল করল না, কিন্তু একদিন এক আর্ট শিক্ষক তার কাজ দেখে অবাক হয়ে বললেন,
“তুমি জানো, তোমার ছবিগুলো জীবনের কথা বলে।”

সেই কথাটা রিমার ভেতরে আগুন জ্বালিয়ে দিল। সে আরও পরিশ্রম করতে লাগল, প্রতিদিন একটু একটু করে নিজের সীমা ভাঙল। অনেক ব্যর্থতা, অনেক সমালোচনা—তবু সে থামল না।

বছর কয়েক পর, সেই লাজুক মেয়েটাই বড় শহরের এক বিখ্যাত আর্ট গ্যালারিতে নিজের একক প্রদর্শনী করল।
গ্যালারির এক কোণে দাঁড়িয়ে রিমা হাসল—
সে জানত, বড় হয়ে ওঠা মানে কেবল বয়সে নয়; বড় হওয়া মানে নিজের ভয়কে জয় করা, নিজের পথ নিজে তৈরি করা।


মন্তব্যসমূহ